হাইকোর্টের রুল অমান্য করে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ মাদ্রাসা কমিটির বিরুদ্ধে
মোঃজোনায়েদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাগানে ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার কমিটি বাতিল করত মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করলেও তা অমান্য করে মাদ্রাসার বর্তমান কমিটি তড়িঘড়ি করে রমজানের বন্ধের সময় নিয়োগ দিতে পাঁয়তারা করছে। একই সাথে এই নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কমিটির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার দাতা সদস্য মঞ্জুরুল হক সরকার ত্রিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের এসব আদেশ অমান্য করে নিয়োগ সম্পন্ন করতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে মাদ্রাসা কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বাগানে ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর মাসুম বিল্লাহকে সভাপতি করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এই কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে কমিটি বাতিলের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটশন করেন সাবেক অভিভাবক সদস্য শাহীন আলম গং।২৮৭৫/২৩ নম্বর রিট পিটিশনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ৪ সপ্তাহের রুল জারি হয়। দাতা সদস্য মঞ্জুরুল হক সরকারের ২৪/২/২৩ তারিখে দায়ের করা ত্রিশাল সহকারি জজ আদালতে অন্য প্রকার মোকাদ্দমা ৮৫/২৩ এ বিজ্ঞ আদালত ২১ দিনের মধ্যে কারণ দর্শনের নোটিশ জারি করেন।
৭।১২।২২ তারিখে দৈনিক আজকের বাংলাদেশ পত্রিকায় উপাধ্যক্ষ,অফিস সহকারী,নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্ন কর্মী,আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে অত্র প্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত নন এমপিওভুক্ত অফিস সহকারী আজারুল ইসলাম, পিয়ন জিয়াউর রহমান ত্রিশাল সহকারি জজ আদালত ৬/২/২৩ ইং তারিখ ৫৩/২৩ অন্য প্রকার মামলা দায়ের করেন।মামলার আরজিতে তারা উল্লেখ করেন আমরা বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও আমাদের এমপিও না করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় আমরা বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
আদালতে মামলা হলেও সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রমজান মাসের ছুটির মধ্যেই নিয়োগ সম্পন্ন করতে পাঁয়তারা করছেন। এসব নিয়োগে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লাখ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর প্রতিনিধি মনোনয়নসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য,মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ নিয়েও মহামান্য হাইকোর্টে ১৬৩৬৭/১৭ এবং ত্রিশাল সহকারি জজ আদালতে ৩০৩/১৬ মোকদ্দমা চলমান