অপরাধআইন ও বিচাররাজশাহীসারাদেশ

লালপুরে সাংবাদিকের মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দেইনি থানার ওসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে, দিবালোকে, উপস্থিত জন সাধারনের সামনে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি সহ সাংবাদিকের মান-সন্মান নিয়ে টানা হেঁচড়া এবং সন্মান হানির ঘটনায় গত ৬ই মার্চ-২৩ ইং তারিখে জাতীয় ও ডিএফপি মিডিয়া ভুক্ত দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার লালপুর উপজেলা প্রতিনিধি মেহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে নাটোরের বিজ্ঞ আমলী আদালতে দঃবিঃ৫০০/৫০৫/৫০৫(ক)৫০৬(।।)৪৯৯/৫০৮/৫০১/৫০৪/৫০২/৫০৩/৫০৬ ধরায় মামলা দায়ের করেন।মামলা নং সি আর-৬৩/লাল।এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত আদালত ঐ দিনই মামলাটি আমলে নিয়ে
লালপুর থানার ওসিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে আগামী ৭/৫/২০২৩ ইং তারিখে দিন ধার্য্য করেছিলেন।কিন্তু আদালতের ধার্য্য তারিখে লালপুর থানার ওসি উক্ত তদন্তের রিপোর্ট আদালতে প্রেরন করেননি।যাহা বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলেক শেখ নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মেহেরুল ইসলাম মোহন অনুতপ্ত হয়ে তার সহকর্মী সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তোফা এতই প্রভাবশালী যে তার ক্ষমতার দপটে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে তা রিসিভ না করে কৌশলে ইউএনও অফিসে যেতে বলেন।পরের দিন ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিলেও কোন আইনী ব্যাবস্থা হয়নি।পরে নিরুপায় হয়ে উক্ত তারিখে আদালতে মামলা করলে আদালত ওসিকে তদন্তের রিপোর্ট দিতে আদেশ দিলেও ওসি তা নির্ধারিত সময়ে তা পাঠাইনি।
মেহেরুল আরও বলেন,একজন থানার ওসি আইনের লোক,আইনের লোক হয়েও যদি আদালতের আদেশ ফলো না করে তাহলে আমরা যাবো কোথায় বলেও মন্তব্য ব্যাক্ত করেন।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বলকে ধার্য্য তারিখে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমার জানা নাই,থানার মুন্সির মাধ্যমে জানতে হবে।
পরের দিন পুনরায় ফোন দিলে তিনি বলেন,তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়ায় আদালতে সময় চাওয়া হয়েছে।উক্ত সময়ের মধ্যেই তদন্তের রিপোর্ট খানা আদালতে প্রেরন করা হবে।
উল্লেখ্য যে,গত ১১ই ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল(কালুপাড়া) এলাকার একটি মাটির রাস্তায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে মর্মে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম সহ ৩ জন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা আমাকে এ ঘটনা ঘটায়।পরে বিষয়টি লালপুর থানার ওসিকে জানালে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিতে বলে।পরের দিন ১২ই ফেব্রুয়ারীতে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলেও ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
পরে ইউএনও অফিসে অভিযোগ সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যম খবরটি প্রকাশিত হলেও কোন আইনী ব্যবস্থা না হওয়ায় মেহেরুল ইসলামের সাংবাদিকতা ও পল্লী চিকিৎসার ক্ষেত্রে মান-সন্মানের হানি ঘটেছে। যা ১০ কোটি টাকা টাকার বিনিময়েও এ সন্মান ফিরে আনা সম্ভব হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সকল পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোর ডকুমেন্টস আদালতে দাখিল করে মানহানির মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়।বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র এডভোকেট আলেক শেখ বলে জানা গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button