লক্ষ্মীপুরে সৌদিতে নিহত সবুজের স্বজনদের বুকফাটা কান্না
লক্ষ্মীপুর জেলাতে সৌদি আরবে ওমরাহ হজ্বে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশীদের মধ্যে সবুজ হোসাইনের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে সবুজের বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্না থামছে না। সবুজের মৃত্যুর খবরের পর থেকে আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে ভীড় জমায়।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের বাড়িতে গেলে সবুজের বাবা-মাসহ স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মোঃ সবুজ দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের ছেলে। তারা চার ভাইবোন। এরমধ্যে সবুজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান।
সবুজের বাবা হারুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবুজের বাবা হারুন মাছ বিক্রি করে সংসার চালায়। আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল নয়। প্রায় ৩ বছর আগে বড় ছেলে সবুজকে ধারদেনা করে চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সেখানে তিনি একটি খাবার হোটেলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার পাঠানো টাকাতেই পরিবার স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে। সবুজ সহসায় দেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
রোববার (২৬ মার্চ) ওমরাহ হজ্বে যাওয়ার জন্য বাসের টিকেট কাটে সবুজ। বিষয়টি তিনি বাড়িতে মা পারুল বেগমকেও জানিয়েছেন। হজ্বের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার আগেও মোবাইলফোনে বাড়িতে কথা হয়েছিল। কিন্তু পথে দুর্ঘটনায় সবুজ নিখোঁজ হয়। পরে সবুজের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আর্তনাদ শুরু হয়