বরিশালসারাদেশ

ভোলায় বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহ কালে স্থানীয় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

বরিশাল ব্যুরো চিফ:

ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে ইউপি সদস্যর অবৈধ বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহকালে জুয়েল নামে এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ভোলা ভেদুরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন তেতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বলগেট বোঝাই করে খেয়া ঘাট ব্রিজ এলাকায় বালু নামিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে একটি চক্র।ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্বাস এর ছত্র ছায়ায় খেয়াঘাট ব্রিজ সংলগ্ন বাউলী কান্দি দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ বালু ব্যবসা নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য আব্বাস মেম্বারকে প্রতি ১ ফুট বালি নামাতে এক টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। ওই চাঁদার টাকা উত্তোলন করেন আব্বাস মেম্বারের ভাই শাহিন। এ সকল অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহ করেন স্থানীয় সংবাদ কর্মী জুয়েল।

অবৈধ বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করার কারণে আব্বাস মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদকর্মী জুয়েলের উপর হামলা চালানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
গত রবিবার (২৫ডিসেম্বর) আব্বাস মেম্বারের সহযোগী পশ্চিম চরকালি এলাকার গফুর ফরাজির ছেলে ইয়াবা (মাদক) মামলার আসামী মাহবুর রহমান সরোয়ার বাড়ির দোকানের সামনে সকাল সাড়ে ১০ টার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র ছুরি দিয়ে সংবাদকর্মী জুয়েলের উপর হামলা চালাতে আসলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়।

জনগণের বাধার মুখে সন্ত্রাসী মাহবুবুর রহমান সাংবাদিক জুয়েলের উপর হামলা না করতে পেরে গালিগালাজ করতে থাকেন । এবং বালু উত্তোলন ও মেম্বারের ভাই শাহীনের চাঁদার টাকা উত্তলনের সংবাদ প্রকাশ হলে মেরে ফেলার হুমকি দেন,
ওই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন স্থানীয় সংবাদ কর্মী জুয়েল।
সংবাদকর্মী জুয়েল জানান, আব্বাস মেম্বার তার ভাই শাহিনকে দিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দিনের পর দিন চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির দ্বায়ে ২০১৪ সালে আব্বাস মেম্বার গ্রেপ্তার হয়েছিল।

সাংবাদিক জুয়েল আরো জানান তার বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করার কারণে মাদক ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানকে দিয়ে আমার উপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার দাবী করছি।

এ বিষয়ে ইউ’পি সদস্য আব্বাস জানান, জুয়েলের সাথে মাহবুবের হাতাতের ঘটনা আমি শুনেছি। তবে কি কারনে হয়েছে তা আমি জানিনা। জুয়েল কিছুদিন পর পর অনেকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করে আমি দেখি কিন্তু কখনো কিছু বলিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button