সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন এর মহব্বতপুর বাজার থেকে বাগানবাড়ী যাওয়ার ৭ কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল দশার জন্য চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়। ভাঙ্গা রাস্তায় ছোট গাড়ি চলাচল করা ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ফলে আশেপাশের এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন ঝুকি নিয়েই মালবাহী ট্রাক, পিকাপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ইজি বাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। ভাঙ্গা যায়গা গুলোতে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যার কারনে এলাকাবাসী রাস্তা মেরামতের দাবি যানাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহব্বতপুর থেকে বর্ডারহাট শহরে যাওয়ার যে রাস্তাটি সেটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরছে। রাস্তাটি শারফিন সহ স্মৃতিমান দীপ্তি মানে ঢোকতে সামনের ও বাজারে হাই স্কুলের সামনেও ভাঙ্গা গর্ত রয়েছে, এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের অনেক ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। জিয়াপুর, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ , স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হাবিবা খাতুন বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই স্কুলের সামনে ভাঙ্গা রাস্তায় অনেক পানি জমে থাকে এবং সব পানি স্কুলের ভিতর দিয়ে যায় এতে আমাদের ও শিক্ষা র্থীদেরও অনেক ভোগান্তিতে পরতে হয়। তিনি আরো বলেন এই রাস্তা দ্রুত মেরামতের জন্য আমরা যোড় দাবি যানাচ্ছি।
দশম শ্রেণির ছাত্র সুমন ইসলাম বলেন, স্কুলের সামনে ভাঙ্গা থাকায় স্কুল ছুটির সময় আমাদের বেশি সমস্যা হয়। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি বেজে থাকে এতেও আমাদের সমস্যা হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বাজারের বলেন, বাজারের মাঝে ও স্কুলের সামনে রাস্তা এতটাই খারাপ যে একটু বৃষ্টি হলেই সেখানদিয়ে একহাটু পানি জমেযায়। এতে অনেকেই বুঝতে পারেনা সেখানে কতটা গর্ত আর গাড়ি চালাতে গিয়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাই সাধারণ জনগণ হিসেবে আমিও এই রাস্তা মেরামতের দাবি যানাচ্ছি।
অটোরিকশা চালক মোঃ ফরিদ মিয়া বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক থেকে যাওয়ার প্রধান যে সড়কটি এটা এতটাই খারাপ যে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের কারনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরো বলেন, এসব রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়িও খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তিনি ভাঙ্গা রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও শিক্ষক শিক্ষার্থী সবাই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এসব রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবি যানিয়েছেন।