অপরাধরংপুরসারাদেশ

পরিবারকে না জানিয়ে করোনার টিকা দেয়ার পর অসুস্থ শিশু,তদন্ত কমিটি গঠন

ঠাকুরগাঁওয়ে পরিবারকে না জানিয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী আফসানা মিম নামে এক শিশুকে করোনা টিকা দেয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে। এ ঘটনার পর আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করেন সদরের জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি ঘটে চার বছর নয় মাস বয়সী ওই শিশুকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা না দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে। আফসানা মিম নামের শিশুটি সদর উপজেলার বোচাপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী। ওই স্কুলেই গত রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে শিশুটির পরিবারকে না জানিয়ে সনদপত্র ছাড়াই তাকে করোনা টিকা প্রদান করে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।

 

আর টিকা দেয়ার পরেই অসুস্থ শিশুটিকে পরিবারের স্বজনরা প্রথমে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। দুদিন চিকিৎসা নিলেও শিশুটি খাওয়া দাওয়া ও কথা বলা বন্ধ করে দিলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

ওই শিক্ষার্থীর বাবা আবিদ আলী অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে করোনার প্রথম ডোজ টিকা না নেয়ার পরেও তাকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা দেয়ার আগে অভিভাবকের সাথে কেউ যোগাযোগও করেনি। পরে শিশুটির কাছেই জানতে পারেন তাকে করোনা টিকা দেয়া হয়েছে।

গরিব অসহায় পরিবারের সদস্যরা শিশুটি এমন অবস্থা দেখে পাগলের মত হাসপাতাল চত্বরে ছুটোছুটি করে। পরে উপায় না পেয়ে ঋণ মহাজন করে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে সন্তানকে বাচাতে ছুটে যান রংপুরে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, গত সোমবার এগারোটায় স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদেরকে টিকা দেওয়া হয়। টিকা দেওয়া শেষ করে সবাই বাড়ি চলে যায়। বিকেলের দিকে আফসানা মিমের পরিবারের স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন শিশুটি অসুস্থ। পরে তার মা-বাবা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আফসানাকে। আফসানার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন বলে জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে হাসপাতালে সিভিল সার্জন ডাঃ নূর নেওয়াজ আহমেদ জানান, ঘটনাটি জানার পর তা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি বেরিয়ে আসলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button