অপরাধজেলা সংবাদবরিশালসারাদেশ

পটুয়াখালী জেলার বাউফলে যুবলীগ নেতার ওপর হামলা

পটুয়াখালীর বাউফলে মো. খোকন হাওলাদার(৩৩) নামের এক যুবলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ওই যুবলীগ নেতার পা ভেঙে হয়েছে। এছাড়াও শরিরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এঘটনা ঘটে। আহত খোকন নাজিরপুর ইউনিয়নের রামনগর তাঁতেরকাঠী গ্রামের মাহফুজ হাওলাদারের ছেলে।সে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন উপজেলা বাংলাবাজার থেকে নিমদী লঞ্চঘাটে যাচ্ছিলেন খোকন।ধানদী বাজার সংলগ্ন ইউপি ভবনের সামনে আসলে তার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মহসিনের ভাতিজা তানভির (২০), ভাগ্নে হাসান (২৮), সাইদুল(২৮) ও জসিম (৩০)হাসান হুন্ডা (২৭)সহ ৫/৭জন লোক হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার ডানপা ভেঙে দেয়। এছাড়াও শরিরের বিভিন্ন স্থানে গুরতর জখম করা হয়। আশে পাশে অনেক লোকজন থাকলেও চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। পরে ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রুবেল তালুকদার তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আহত যুবলীগ নেতা খোকন বলেন,‘ গত ইউপি নির্বাচনে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুকের সমর্থক ছিলাম। নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। নির্বাচনে নৌকাকে হারিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী (চশমা) এস.এম মহসিন জয় লাভ করে। নির্বাচনে জয়ী হবার পর চেয়ারম্যান মহসিন ঘোষণা দেয় ‘আমাকে পঙ্গ করে দিবে’। তার ভয়ে অনেকদিন পালিয়ে ছিলাম। কিছুদিন আগে এলাকায় এসেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যানের ভাতিজা, ভাগ্নেসহ কয়েকজন আমার মটরসাইকেল থামিয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় চেয়ারম্যান মহসিনের ভাই ও ইউপি সদস্য আহসান হাবিব মিন্টু উপস্থিত থেকে আমাকে মারার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. রুবেল তালুকদার বলেন,অসহায় মানুষদের মাঝে সরকারের সহায়তার চাল বিতরণ করছিলাম। তখন ডাক চিৎকার শুনে এসে দেখি কয়েকজন খোকনকে পিটাচ্ছে। পরে তাকে উদ্ধার করে অটোরিকশায় হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। কারা মারছিলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মহসিনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ডাঃ সানজিদা আক্তার জেসি,প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন

এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিচুল হক বলেন,হামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button