অপরাধরংপুরসারাদেশ

পঞ্চগড়ে ১কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খন

পঞ্চগড়ে’র তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে নদী খনন। উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের নিম্নঞ্চল থেকে উৎপত্তি হওয়া তিরনই নদী মহানন্দা নদীতে গিয়ে মিশেছে। নদীটির অস্তিত্ব সংকীর্ণতায় এলাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ কৃষি কাজে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

 

তবে নদী খননের ফলে এই সমস্যা আর হবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, নামমাত্র নদী থাকলেও নদী মানুষের তেমন কোনো উপকারে আসে না। বর্ষা মৌশুমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো এলাকার নিম্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা সময় মতো ফসল উৎপাদন করতে পারি না। আবার অন্যান্য মৌশুমে দেখা যায় পানি সংকট। ফলে ঠিকভাবে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় না। নদী খননের ফলে এখন বর্ষা মৌশুমে আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। খরা মৌশুমে নদীর পানি আমারা সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারবো। নদী খননে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড পঞ্চগড় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলি মোঃ রেজাউল করিম বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ১কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিরনই নদী খনন করা হচ্ছে। ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চল নদীটির উৎপত্তিস্থল। এবং মহানন্দা নদীতে গিয়ে পতিত হয়েছে। মোট দৈর্ঘ্য ৭.৬০ কিলোমিটার। ২০২২ সালের ১৮ জুলাই খনন কাজ শুরু হয়ে ১৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে খনন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নদীটি খননের ফলে আশেপাশের পরিবেশ রক্ষা হবে। নদীতে সাড়া বছর মাছ পাওয়া যাবে। সাড়া বছর সেচের পানি পাওয়া যাবে। খননের মাটি দিয়ে নদীর দুই পাড় ভালোভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে যাতে নদীর পানি চারদিকে ছড়িয়ে না পড়ে। এছাড়া নদীটি খননের ফলে আশেপাশের এলাকায় আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া নদীর দুই পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button