নড়াইল সদর উপজেলা যে পরিমাণ কাজ হয়েছে, তা বিগত পঞ্চাশ বছরেও হয়নি। এমন মনত্ব্য করেছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদরের হবখালী হাড়িগড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুল মাঠে ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, করোনার কারণে দুই বছর কোন কাজ কারা সম্ভব হয়নি, আপনারাও ঘর থেকে বের হতে পারেননি। এখন কাজ শুরু হয়েছে এর মধ্যেও নড়াইল সদর উপজেলায় স্কুল ও রাস্তাঘাটসহ ১০৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে, যা বিগত ৫০ বছরেও হয়নি।
এমপি মাশরাফি বলেন, অনেকেই না জেনে প্রশ্ন করেছেন, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও বরাদ্দের লিষ্ট নিয়ে মিলিয়ে দেখুন। তিনি, ইউনিয়নের কোন কোন রাস্তার বরাদ্দ দিয়েছেন, কোন কোন মসজিদ ও মন্দিরে কত টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন সে বিষয়ে বলেন, এর মধ্যেও অনেক রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন বাকী আছে, সেগুলো আস্তে আস্তে করা হবে বলে জানান এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য নতুন ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে সাতদিনের মধ্যে ডাক্তার আসবে বলেও জানান, খালের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে এবং নায়েব এর বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন।
জনতার মুখোমুখি এ অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে এমপি মাশরাফিকে ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্পর্কিতসহ দীর্ঘ ৪ বছরে এমপির কার্যক্রম, সফলতা-ব্যর্থতা, এলাকায় জনগণের জন্য কতটুকু করতে পেরেছেন বা পারেননি, সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং এমপি তার উত্তর দেন। ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না থাকা, খেলার মাঠ, মসজিদ ও মন্দির উন্নয়ন, খাল কাটা, স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েব এর হয়রানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন করেন।
হবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাদশা মোল্যার সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা , স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, সংসদ সদস্য মাশরাফি তার নির্বাচনী আসনের ২০টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে জনতার মুখোমুখি হবেন। প্রসঙ্গত, ব্যতিক্রমী এ ধরনের আয়োজন নড়াইলের কোনো জনপ্রতিধি কখনো করেননি।