নুরুজ্জামান ,দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ঘিলাছড়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সানুর আলী। তিনি স্কুল ফাঁকি দিতে ওস্তাদ। নিয়মিত স্কুলে জান না। তবে সপ্তাহে সপ্তাহে স্কুলে যান শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে। আর মাস শেষে তোলেন বেতন। ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এমন অভিযোগ নিয়ে এলাকায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী জানায় ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান সানুর আলী। দায়িত্ব পাওয়ার পর কিছুদিন ভালভাবেই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে শুরু হয় তার ফাঁকিবাজি। তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন অজুহাতে। ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বহীনতার কারণে ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার ঘাটতি পরেছে,ফলে শিক্ষার্থীরা পায় না সঠিক শিক্ষা দান।
ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক নিয়মতি প্রতিষ্ঠানে না আসায় একদিকে যেমন শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষুব সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা ও সঠিক গাইডলাইন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঘিলাছড়া স্কুল এন্ড কলেজের
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সানুর আলী মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা এগুলা তোকাইয়া থাকেন,আমি এখন এমপির বাসায়। প্রতিষ্ঠানের কাজ আপনারা করেন না আমরা করি। আপনারা গু মোত খোজে বেড়ান কেন। ভাল কিছু লেখেন।আপনি আমাকে কিসের প্রশ্ন করেন। অন্য কিছু লেখেন বলে কল কেটেদেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘিলাছড়া স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মুশাহিদ আলী বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক রঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন,স্কুল এন্ড কলেজের প্রধানদের ওইসব বিষয়গুলো গবর্নিবডির সভাপতি দেখেন,তার পরেও আমি খুঁজ নিয়ে দেখব।