সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার শিশু আবুবক্কর এর নৃশংস হত্যাকা-ে হতবাক বিশ্ববিবেক। নির্যাতনের চিত্র দেখে চোখ ধরে রাখা যায় না। বর্বরোচিত এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে গ্রামের মানুষ ফুঁসে উঠেছে।
রবিবার বেলা পৌনে ২টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উরুরগাঁও গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযানে মো.সুন্দর আলীর ছেলে সুমন মিয়া (৩০) ও মো.আকবর আলীর ছেলে আল আমিন (২২)কে আটক করা হয়েছে। আটককৃত দু’জনকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাজারের অটোরিক্সা চালক মাঈন উদ্দিনের সাথে গাড়ীতে যাত্রী উঠানামা নিয়ে একই ইউনিয়নের কিরনপাড়া গ্রামের মো.আল আমিনের তর্কবির্তক ও কথা কাটাকাটি হয়। একইদিন দুপুরে চালক বোগলাবাজার যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা অটোরিক্সা গতিরোধ করে তার স্ত্রী নুরজাহান, ছেলে আবু বক্কর, ছেলের বউ অহিদাকে মারপিট করে আহত করে।
এ সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চালক মাঈন উদ্দিন ও তার স্ত্রী নুরজাহান এবং ছেলের বউ অহিদা বেগমকে চিকিৎসা প্রদান করেন। তবে তার ছেলে অবস্থা অবস্থা গুরুত্বর হওয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার পৌনে ২টায় শিশু মো.আবু বক্কর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সময় মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় থানায় চালক মাঈন উদ্দিনের ভাতিজা সাকিল মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পরে থানা পুলিশের অভিযানে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।