পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় এ বার ডেমশির বাম্পার ফলন হয়েছে । ঢেমশি নামটি নতুন মনে হলেও এটি কিন্তু আমাদের ঐতিহ্যবাহী আদি ফসলের মধ্যে একটি। এক সময় এটির জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্যতা অনেক ছিল। কালের ঢামাঢোলের মাঝে হারিয়ে যেতে বসেছিল।
আবার কিছু মানুষের আন্তরিকতা প্রচেষ্টায় এবং ঢেমশির বৈশিষ্ট্যের কারণে আবারও আস্তে আস্তে জায়গা করে নিচ্ছে কৃষি ভুবনে। ঢেমশি আদি শীতকালের ফসল। ঢেমশির ইংরেজি নাম বাকহুইট (Buckwheat)। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Fagopyrum esculentum আসলে ঢেমশি বীজ বপন থেকে পাকা পর্যন্ত সরিষার সাথে মিল কাটার পর ধানের সাথে বেশি মিল আছে। তাহলে মোটামুটিভাবে সরিষা ও ধান দুটো ফসলের বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে ঢেমশি ফসল। এটির আদিবাস বৃহত্তর রাশিয়ার ইউক্রেনে। কালক্রমে দক্ষিণ এশিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আবাদ হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। বলা হয় পৃথিবীর ৫টি সেরা খাদ্যের মধ্যে ঢেমশি অন্যতম একটি। অথচ আমাদের দেশে এটি সবচেয়ে অবহেলিত ফসল। উন্নত দেশগুলোতে ঢেমশি খায় জ্ঞানী, বিজ্ঞ, বড়লোকরা। আর আমাদের দেশে খেত গরিবেরা । এটি শুধু খাদ্য নয় অনেক রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে ম্যাগনেটের মতো।
কৃষক ইমান আলী বলেন ১৯৮০ সালের পূর্বে ডেমশি আবাদ করতাম ১৯৮০ সালে বর্নার পরে আর ডেমশি আবাদ করিনি এবার নতুন করে বিলুপ্ত হওয়ার পথে ডেমশি আমি ৬০ শতক জমিতে আবাদ করেছি ।অনেক ভাল ফল হয়েছে আশাকরছি প্রতি বিঘায় ৫-৬ মন ডেমশি পব ।এবং বর্তামানে বাজার মূল্র প্রতি মন ডেমশি বিক্রয় হচ্ছে ৪০০০-৫০০০ টাকা মন ।ডেমশি আবাদ করে আমি লাভোমান হবো আশা করছি ।
এবেপারে দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃষি খর্মকর্তা নাই্ম মোর্শেদ বলেন এই উপজেলায় এবার অনেক ডেমশি আবাদ হয়েছে ।এবার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৩ একর ৫০ শতক জমিতে ডেমশি আবাদ হয়েছে । আশা করছি কৃষকগন ডেমশি আবাদ করে অনেক লাভোবান হবেন ।