জবরদখলে বাধা দেয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানকে পিটিয়ে আহত, আদালতে মামলা
স্টাফ রিপোর্টোরঃ
নোয়াখালী জেলা চাটখিল উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের বেচু পাটোয়ারী বাড়িতে সীমানা চিহ্নিত না করে অবৈধভাবে ঘর থেকে বের হওয়ার জায়গা বন্ধ করে বিল্ডিং নির্মাণ করার সময় বাধা দিলে ফেরদাউস সুলতানা নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে আহত করেছে একই বাড়ির সন্ত্রাসী ও ভূমিগ্রাসী সোহেল হোসেন ও মেহেদী হাসান গং। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু ০৫ জনকে আসামি করে নোয়াখালী আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামের প্রবাসী মনির হোসেন পাটোয়ারীর স্ত্রী ফেরদাউস সুলতানা (৩৫)তার স্বামীর বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। একই বাড়ির সন্ত্রাসী ও ভূমিগ্রাসী আবুল কালামের ছেলে সোহেল রানা (৩৫) ও মেহেদী হাসান (১৮) এর নেতৃত্বে মনির হোসেনের বসত ঘরের পাশ ঘেঁষে অবৈধভাবে জোরপূর্বক বিল্ডিং ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করতে গেলে গৃহবধু ফেরদাউস স্থানীয় গণ্যমান্য ও মেম্বারকে বিষয়টি জানালে তারা কাজ না করার জন্য নিষেধ করে। কিন্তু তাদের নির্দেশ অমান্য করে কাজ করতে গেলে বাধা দিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোহেল রানা ও তার সহযোগী চাটখিল কিশোর গ্যাং এর অন্যতম সদস্য মেহেদী, একই বাড়ির আবুল কালাম ও মরিয়ম আক্তার হিরা একত্রিত হয়ে ফেরদাউস সুলতানা ও তার মেয়েকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ও ফেরদাউসকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানি করে। গৃহবধুর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে। সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর, ঘরের সামনের টিনের চাল খুলে নিয়ে যায় এবং নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ গলায় থাকায় স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে যায়।
এসময় সন্ত্রাসীরা গৃহবধুকে তার মেয়েদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়। নচেত তাকে হত্যা ও ধর্ষণ করবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার পর থেকে মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে রাতের বেলায় ২০/ ২৫ জনের কিশোর গ্যাং নিয়ে এসে মহড়া দেয়। এ ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে গৃহবধু ও তার পরিবার। নিরুপায় হয়ে বিগত ০২ মে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ০৭ নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে সরজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা জানা যায়, বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধে চলছে দুই পক্ষের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত ও দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান। ফেরদাউস সুলতানার স্বামী বিদেশ থাকায় বার বার তার উপর হামলা করে। এদের ভয়ে লোকজন কথা বলতে চায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান কথায় কথায় এরা রাম দা, চাপাতি নিয়ে মানুষকে মারতে যায়। সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা গেলে তাঁদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সহেল রানা। স্হানীয় এলাকাবাসী দাবী এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়।