মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ভোরের আলো ফোটার আগেই গাছিরা ছুটে খেজুর গাছে বেঁধে রাখা মাটির হাঁড়িতে সংগ্রহীত রস নামাতে।
এরপর সব গাছ থেকে সংগ্রহ করা রস কয়েক ঘন্টা জাল দেয়ার পর রস আস্তে আস্তে গুড়ে রূপ নেয়।
পরে টিনের পাত্র থেকে বাগান চত্বরে মাটির ছোট ছোট সাজানো পাত্রে ঢেলে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করলেই পরিণত হয় গুরে।
সুস্বাদু গরু কিনতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুণ এলাকায় সুগার মিল কর্তৃপক্ষের ছয় শতাধিক খেজুর গাছ লিজ নিয়ে গাছ পরিচর্যার মাধ্যমে খেজুরের গুড় উৎপাদন করছেন গাছীরা।
খেজুর বাগান দেখতে যাওয়া এক পর্যটক বলেন,এখানে খাঁটি গুড় তৈরি হয় তাই আমরা পরিবার সহ আসছি দেখলাম অনেক ভালো লাগলো আর গুরও কিনে নিয়ে যাচ্ছে বাসায়।
স্থানীয়রা জানান, ভোর রাত থেকে রস নামিয়ে বাগানেই জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করায় বলা মুশকিল শুধু রস দিয়েই গুড় তৈরি হচ্ছে নাকি চিনি মিশ্রিত। তারপরেও মানুষ বিশ্বাস করে গুড় কিনছেন।
লিজ নেয়া ব্যক্তি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, গুড়ে কোনো প্রকার ভেজাল দেয়া হয় না। এখন শীত বাড়ছে তাই গুড় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালো টাকা আয় হচ্ছে এখান থেকে।
আমরা লিজ নিয়েছি এক বছরের জন্য, একমাস আমাদের শুধু এটা রেডি করতে গেছে, এখন আমরা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন হচ্ছে আমাদের রস নামতেছে।
প্রথম দিকে অল্প করে হচ্ছিল ১০ থেকে ১৫ কেজি করে, এখন আমাদের শীতের পরিমাণ বেড়ে গেছে তাই এখন রসের পরিমাণটা অনেক বেড়ে গেছে।
বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, নারগুণ এলাকায় প্রতি বছরের মতো এবারো খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করা হচ্ছে। তবে গুড়ে যেন ভেজাল মেশাতে না পারে সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে জানান প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
প্রায় ছয় শতাধিক খেজুর গাছের
রস থেকে প্রতিদিন ১২০ কেজি গুট তৈরি হয়।
আর প্রতি কেজি গুন বিক্রি করছেন আড়াইশো টাকায় এতে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান।