কৃষি আবহাওয়া তথ্য বোর্ডে পাখির বাসা উপ-কৃষি কর্মকর্তাদের গাফলতি
রবিন আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
কোন কর্মকর্তা নয়, কৃষি আবহাওয়া তথ্য বোর্ড দেখভাল করছে পাখির দল। শুনতে ভূতুড়ে মনে হলেও এ চিত্র দেখা গেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া, বড় বাইশদিয়া, চরমোন্তাজ ও রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নে।
কৃষকদের সুবিধার্থে সাঁটানো তথ্য বোর্ডের কার্যক্রম ব্যাপারে কিছুই জানেন না জনপ্রতিনিধিরা। অথচ কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস জানানো এ বোর্ডে তিন দিন পরপর তথ্য হালনাগাদ করার কথা রয়েছে স্ব স্ব ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-কৃষি কর্মকর্তার। দায়িত্বে অবহেলা কারণে উপ-কৃষি কর্মকর্তারা তথ্য বোর্ড আপডেট করেনি বলে জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। যার ফলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বসানো এসব তথ্য বোর্ডগুলো কাজে আসছে না। অকেজো হয়ে গেছে যন্ত্রপাতি। বাসা বেঁধেছে একদল পাখি। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস তথ্য বোর্ডের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।
জানা গেছে, কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২০২১ সালের জুন মাসে বসানো হয় কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস তথ্য বোর্ড। যেখান থেকে আবহাওয়া ও নদনদীর সামগ্রীক অবস্থার তথ্য কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার কথা। নিয়মানুযায়ী আগে ও পরের তিন দিনের কৃষিভিত্তিক নানা তথ্য এ বোর্ডে হালনাগাদ করার কথা। কিন্তু এসব বোর্ডে তা কোন দিনই করা হয়নি। যার কারনে অকেজো হয়ে পড়েছে তথ্য বোর্ডের যন্ত্রপাতি। কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকায় তথ্য বোর্ডে বাসা বেঁধেছে পাখির দল।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, ইউনিয়ন পরিষদে আবহাওয়ার বার্তা জানার ব্যবস্থা রয়েছে তা তারা জানতেন না। যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে কেবল তারাই আবহাওয়ার খবর জানতে পারে।
ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল পাশা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে আবহাওয়ার এই বোর্ড লাগিয়ে গেছে। এর কার্যক্রমের ব্যাপারে আমাদের সাথে কেউ কোন আলোচনা করেনি অদ্যাবধি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস তথ্য বোর্ডের বিভিন্ন তথ্য আপডেট করার কথা থাকলেও উপকৃষি কর্মকর্তারা আপডেট করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা তাদের জোড় তাগাদা দিয়েছি। এবং দুর্যোগের পূর্বাভাস পেলে মাঠপর্যায়ে থাকা উপ-কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঝে পরামর্শ্ব দিয়ে যাচ্ছেন।’