জ্ঞানমূলক

অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: অপরিচিতা গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক সবুজপত্র পত্রিকায়। অপরিচিতা গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী যে নারীর কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে তার নাম কল্যাণী। কল্যাণী ও তার পিতা শম্ভুনাথ সেন সমাজে জেঁকে বসা যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। অপরিচিত গল্পে ফুটে উঠেছে অনুপম নামের এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের আত্মকথা। অপরিচিত গল্পে সমাজে যেকে বসা যৌতুক প্রথার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখা যায় অনুপম কল্যাণীকে বিয়ে করার সময় তার মামা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু কল্যাণী ও তার পিতা যৌতুকের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নেয়।
পরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হলে অপরিচিত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন প্রথমে জেনে নেওয়া ভালো। কারণ অপরিচিতা গল্পের mcq অথবা অপরিচিতা গল্পের জ্ঞান মূলক প্রশ্নের উত্তর গুলো পড়লে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখা সহজ হবে। অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পূর্ণ নম্বর পেতে হলে সবগুলো উত্তর সঠিকভাবে লিখতে হবে। আর তার জন্য অপরিচিত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ভালোভাবে আয়ত্ত করা জরুরী।

অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন 

অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো লেখা সহজ হয়। অপরিচিতা গল্পের মূল কথা হলো অনুপম নামের ব্যক্তিত্বহীন এক যুবকের আত্মকথা উঠে এসেছে। এবং যৌতুক পোতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে অপরিচিতা গল্পে। অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো সঠিকভাবে লিখলে পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। এজন্য অপরিচিতা গল্পের mcq ও অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও মূলভাব জানতে হবে।
অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
অপরিচিতা mcq| অপরিচিতা গল্প
অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো এখন ভালোভাবে জেনে নেব। অপরিচিতা গল্পের mcq গুলো পড়ে নিতে পারলে ভালো হবে এবং অপরিচিতা গল্পটি পড়ার পরে অপরিচিতা গল্পের মূলভাব পড়তে হবে। তাহলে অপরিচিতা গল্পটি ভালোভাবে বোঝা সম্ভব হবে। এখন কথা না বাড়িয়ে অপরিচিত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন করা শুরু করব।
প্রশ্ন ১। ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা অনুপমের চেয়ে কত বছরের বড়?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামা অনুপমের চেয়ে ছয় বছরের বড়। 
প্রশ্ন ২। অপরিচিতা গল্পে কোন কথা স্মরণ করে অনুপমের মামা ও মা ‘একযোগে বিস্তর হাসিলেন’?
উত্তর : গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বিস্তর লোকের আদর-আপ্যায়ন করে তাদের বিদায় দিতে কনেপক্ষকে যে নাকাল হতে হবে সে কথা স্মরণ করে অনুপমের মামা ও মা একযোগে বিস্তর হাসিলেন’ ।
প্রশ্ন ৩। অপরিচিতা গল্পে অনুপমকে ‘মাকাল ফলে’র সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ
করেছিল কে?
উত্তর : পণ্ডিত মশায় অনুপমকে ‘মাকাল ফলে’র সঙ্গে তুলনা
করে বিদ্রূপ করেছিলেন।
প্রশ্ন ৪। অনুপমের বাবার পেশা কী ছিল?
উত্তর : অনুপমের বাবার পেশা ছিল ওকলাতি বা আইন ব্যবসায়। 
প্রশ্ন ৫। ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২১ বঙ্গাব্দে (১৯১৪) প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার কার্তিক সংখ্যায়। 
প্রশ্ন ৬। অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম কী ?
উত্তর : অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম বিনু ।

প্রশ্ন ৭। অপরিচিতা গল্পে কাকে ‘মাকাল ফল’ বলে বিদ্রূপ করা হয়েছে?
উত্তর : অনুপমকে ‘মাকাল ফল’ বলে বিদ্রূপ করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৮। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কন্যাকে কী দিয়ে আশীর্বাদ করা
হয়েছিল?

প্রশ্ন ৯। ‘কন্সট’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘কন্সার্ট’ শব্দের অর্থ হলো- নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান । 
প্রশ্ন ১০ ৷ কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হলো?
উত্তর : কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য বিনুদাদাকে পাঠানো হলো 
প্রশ্ন ১১। বিবাহ ভাঙার পর হতে কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
উত্তর : বিবাহ ভাঙার পর থেকে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষা দিয়ে দেশসেবার ব্রত গ্রহণ করেছে ।
প্রশ্ন ১২। ‘অপরিচিতা’ গল্পে কাকে গজাননের ছোট ভাই বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমকে গজাননের ছোট ভাই বলা হয়েছে।

অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১৩। ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রকাশিত হয় কত সালে?
উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯১৪ সালে ।

প্রশ্ন ১৪। শম্ভুনাথ সেন কেমন স্বভাবের মানুষ?
উত্তর : শম্ভুনাথ সেন পরোপকারী, সত্যবাদী, ঋষিতুল্য মানুষ

প্রশ্ন ১৫। ‘অভ্র’ কী?
উত্তর : অভ্র এক ধরনের খনিজ ধাতু।

প্রশ্ন ১৬। কুলি কুলি বলে কে ডাক ছাড়তে লাগল?
উত্তর : অনুপম ‘কুলি কুলি’ বলে ডাক ছাড়তে লাগল ।

প্রশ্ন ১৭। বাঙালি মেয়ের গলায় কোন কথা মধুর হয়?
উত্তর : বাঙালি মেয়ের গলায় বাংলা কথা মধুর হয়।

প্রশ্ন ১৮। কল্যাণীর সাথে কয়টি মেয়ে ছিল?
উত্তর : কল্যাণীর সাথে দু-তিনটি ছোট ছোট মেয়ে ছিল।
প্রশ্ন ১৯। কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়?
উত্তর : মাত্র পনেরো বছর বয়সে।

প্রশ্ন ২০। এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কে? 
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯১৩ সালে)।

প্রশ্ন ২১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮)।

প্রশ্ন ২২। পণ্ডিতমশায় অনুপমকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করতেন কেন?
উত্তর : গুণহীনতার কারণে।

প্রশ্ন ২৩। ‘স্বয়ংবরা’ শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর : যে মেয়ে নিজেই স্বামী নির্বাচন করে।

প্রশ্ন ২৪। অনুপমের বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ।

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

অপরিচিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর জানবো এবার। কারণ অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর না জানলে পরীক্ষায় লিখতে পারবো না। অপরিচিতা গল্পের mcq ও অপরিচিতা গল্পের মূল কথা জেনে নিয়েছি। এরপরে জেনেছি অপরিচিত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর। সবকিছু জানার পরে এবারে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে জেনে নেব তাহলে আমাদের জন্য খুবই উপকারী হবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে ভালো নম্বর পেতে হলে অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পড়া জরুরী। তাই আমরা এখন অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর জানবো।
প্রশ্ন: “একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুক-ভাঙা পণ”— এই কথার অর্থ বুঝিয়ে দাও ৷

উত্তর : “একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুক-ভাঙা পণ” এ কথা বলতে সমাজে বিয়ের বাজারে যোগ্য পাত্রের কদর এবং পণের টাকার পরিমাণকে বোঝানো হয়েছে।
সেকালে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতারা মেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজে পেতে হিমশিম খেতেন। কারণ শিক্ষিত পাত্রের কদর থাকায়, পণের টাকার পরিমাণ ও বেশি ছিল। আর যোগ্য পাত্রের জন্য কনের পিতা সেই পণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করতেন না। কল্যাণীর পিতা শম্ভুনাথ ছিলেন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তিনি মেয়েকে যেন-তেন পাত্রের হাতে তুলে দিয়ে দায় সারতে চাননি। এজন্য দিন দিন মেয়ের বয়স যে বেড়েই চলছে সেদিকে তাঁর খেয়াল নেই । অবশ্য তিনি যে মূল্যবোধের অধিকারী তাতে এসব বিষয়ে তাঁর কিছু এসে যায় না। প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে এই বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন: “মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাহার কাছে গুরুতর” – উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।


উত্তর : “মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাহার কাছে গুরুতর।”— উক্তিটি দ্বারা অনুপমের মামার হিসেবি ও অনুসন্ধিৎসু মানসিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
অনুপমের সংসারে তার মামাই সর্বেসর্বা। তিনি কখনো ঠকতে রাজি নন। অনুপমের বিয়ের ক্ষেত্রে তার মতামতই সর্বশেষ কথা। অনুপমের অনুরোধে হরিশ মামার কাছে কল্যাণীর কথা উপস্থাপন করে। তবে মামা মেয়ের চেয়ে তার বাবার খরবটাই বেশি জানতে চান, সেটাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যাবতীয় দাবি বা চাহিদা তো তারই মেটাতে হবে। প্রশ্নোক্ত উক্তিতে অনুপমের মামার মানসিকতার এ পরিচয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
প্রশ্ন: বলিলেন, “সে কী কথা। লগ্ন” – কে কেন বলেছিল? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বুঝিয়ে দাও ।

উত্তর : বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে বরযাত্রীদের খেতে যেতে বলায় অনুপমের মামা “সে কী কথা। লগ্ন”- কথাটি বলেছিলেন।
‘অপরিচিতা’ গল্পে অনুপমের মামা ছিলেন লোভী ও স্বার্থপর। বিয়ের আসরে তিনি যৌতুকের গয়না যাচাই করার জন্য সেকরা নিয়ে যান। কনের পিতার কাছে প্রস্তাব করেন যে বিয়ের আগেই তিনি কনের সমস্ত গহনা যাচাই করে দেখতে চান। কল্যাণীর বাবা মেয়ের গা থেকে গহনা খুলে এনে দেন। এরপর যাচাই বাছাই হয়ে গেলে তিনি অনুপমের মামাকে বলেন খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে। তখন তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে অনুপমের মামা প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।

প্রশ্ন: “এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি।”- ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : “এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি।”- এই উক্তির মাধ্যমে অনুপম আত্মতুষ্টি লাভের প্রয়াস পেয়েছে ।
মনস্তাপে ভেঙে পড়া অনুপম কল্যাণীকে বিয়ে করতে না পেরেও তার কাছাকাছি থাকার আনন্দেই প্রশ্নোক্ত অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর পুনরায় কল্যাণীকে দেখে মুগ্ধ হয় অনুপম। তার কাছে ও তার পিতার কাছে ক্ষমা চায় অনুপম। সবকিছু ছেড়ে সে বছরের পর বছর কানপুরে কল্যাণীর কাছাকাছি থাকে। কল্যাণী তাকে ক্ষমা করে দিলেও বিয়েতে রাজি হয়নি। তবুও অনুপম তার দেখা পায়, কণ্ঠ শোনে, সুবিধামতো তার কাজ করে দিয়ে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করে নেয় কল্যাণীর কাছে; আর সেই আনন্দেই সে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে।
প্রশ্ন: ‘তারপর বুঝিলাম, মাতৃভূমি আছে।’ – বুঝিয়ে লেখ ।

উত্তর : তারপর বুঝিলাম, মাতৃভূমি আছে।’- এ কথাটি কল্যাণীর স্বদেশপ্রেম সম্পর্কে অনুপম বলেছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পে বিয়ে ভাঙার পর থেকে কল্যাণী পণ করেছে কোনো দিন বিয়ে করবে না। তার এই প্রতিজ্ঞা থেকে কেউ তাকে এক বিন্দু টলাতে পারেনি। দেশের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার ব্রতে কল্যাণী ত্যাগ করেছে জাগতিক মোহ।

মাতৃভূমিই তার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সেই লক্ষ্যে সে মেয়েদের শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। মাতৃভূমির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতেই সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ প্রসঙ্গে অনুপম প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছে।
প্রশ্ন: ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’— উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’- এ কথাটি
মূলত অনুপমকে ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পে লেখক অন্নপূর্ণার সন্তানের সঙ্গে গল্পের অনুপমের তুলনা করেছেন। দেবী দুর্গার দুই পুত্র গণেশ ও কার্তিকেয়। কার্তিকেয় ছোট বিধায় সে সবসময় মাতৃস্নেহে লালিত এবং মায়ের কোলই যেন তার একমাত্র আশ্রয়। অনুপম শিক্ষিত হলেও ব্যক্তিত্বরহিত পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায়, তার নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই। তাকে দেখলে মনে হয় সে যেন মায়ের কোলসংলগ্ন অবুঝ শিশু। এ কারণে লেখক ব্যঙ্গার্থে অনুপমকে কার্তিকেয়র সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
প্রশ্ন: অনুপমের বিবাহ যাত্রার বর্ণনা দাও।

উত্তর : ব্যান্ড, বাঁশি, শখের কন্সট ইত্যাদির উচ্চ শব্দে বর্বর কোলাহলের মধ্য দিয়ে অনুপম বিবাহ যাত্রা করে ।
বিবাহের যাত্রাপথে বাদ্যযন্ত্রের উচ্চ শব্দে এক বর্বর কোলাহলের সৃষ্টি হয়। এই যাত্রাপথে সুরময়তা অনুপস্থিত থাকে শব্দদূষণের আধিক্যে। অনুপম আংটি, হার, জরি-জহরত ইত্যাদিতে সজ্জিত হয়ে নিজের শরীর গহনার দোকানের সমতুল্য করে তোলে। এই সাজে অনুপমের মনে হয়েছে নিজের মূল্য সর্বাঙ্গে নির্ধারণ করে যেন সে ভাবী শ্বশুরের সাথে মোকাবিলা করার জন্য যাত্রা করেছে। এভাবে বিপুলসংখ্যক বরযাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অনুপম বিবাহ যাত্রা করে।
প্রশ্ন: “কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি”– বক্তার এমন অনুভূতির কারণ বুঝিয়ে লেখ ।

উত্তর : মনস্তাপে ভেঙে পড়া অনুপম কল্যাণীকে বিয়ে করতে না পেরেও তার কাছাকাছি থাকার আনন্দেই প্রশ্নোক্ত অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। 
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর পুনরায় কল্যাণীকে দেখে মুগ্ধ হয় অনুপম। তার কাছে ও তার পিতার কাছে ক্ষমা চায় অনুপম । সবকিছু ছেড়ে সে বছরের পর বছর কানপুরে কল্যাণীর কাছাকাছি থাকে। কল্যাণী তাকে ক্ষমা করে দিলেও বিয়েতে রাজি হয়নি। তবুও অনুপম তার দেখা পায়, কণ্ঠ শোনে, সুবিধামতো তার কাজ করে দিয়ে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করে নেয় কল্যাণীর কাছে; আর সেই আনন্দেই সে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে।
প্রশ্ন: অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?

উত্তর : হরিশের সরস রসনার গুণে মামার মন নরম হলো ।
অনুপমের আসল অভিভাবক তথাএবং বংশমর্যাদা অনুকূল হলেও মেয়ের বয়স নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অবশেষে হরিশের মন ভোলানো কথার জোরে এবং ধনুক ভাঙা পণের কামনায় মামার মন নরম হলো।

প্রশ্ন : অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়েবাড়িতে এনেছিল কে?

উত্তর : অনুপমের মামা গহনা যাচাই করে দেখার জন্য সেকরাকে বিয়েবাড়িতে এনেছি
অনুপমের মামা অত্যন্ত হীন মানসিকতার অধিকারী। সে ভেবেছিল বিয়েতে কন্যার বাবা তাদের ঠকাতে পারেন। কিন্তু মামা ঠকবার পাত্র নয়। কন্যার গহনাগুলো কতটুকু খাঁটি তা সে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তাই সে বিয়েবাড়িতে সেকরাকে এনেছি
প্রশ্ন: “আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই।” বাক্যটির তাৎপর্য কী

উত্তর : “আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নেই।”— কথাটি অনুপম তার বিয়ের প্রসঙ্গে বলে
হরিশের দেখানো মেয়েটির বয়স পনেরো হওয়ায় অনুপমের মামার মন কিছুটা ভার ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্বন্ধটা মামার পছন্দ হয় এবং বিনুদাদাকে কন্যার আশীর্বাদের জন্য পাঠানো হয়। বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার ওপর সবার বিশ্বাস ছিল। বিনুদাদার ‘মন্দ নয় হে, খাঁটি সোনা বটে’— এই কথায় অনুপমের সংশয় দূর হয়। অনুপম মনে করে তার বিয়েতে আর কোনো বাধা থাকল না। কারণ বিয়ের দেবতা প্রজাপতির সাথে প্রেমের দেবতা মদনের কোনো বিরোধ নেই অর্থাৎ সব সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হবে।ছে।?ল।ল।ন? ভাগ্যদেবতার প্রধান প্রতিনিধি তার অনুপমের বন্ধু হরিশ। হরিশ ও মামার বৈঠকে অনুপমের বিয়ের প্রসঙ্গে কথা ওঠে। মেয়ের তুলনায় মেয়ের বাবার আর্থিক খবর মামার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক সংগতি

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন: “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই”— উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে?


উত্তর : “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই”— উক্তিটি শম্ভুনাথ সেন বরপক্ষকে বিদায় জানানোর প্রসঙ্গে করেছিলেন।
বরপক্ষের যৌতুকের প্রতি অতিরিক্ত লোভ দেখে কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ সেন মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের আগেই জোর করে বরপক্ষকে খাওয়া-দাওয়া করানো এবং তাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ি ডেকে দিতে চান। বরের মামা বিষয়টিকে ঠাট্টা মনে করেন। আর এর জবাবেই শম্ভুনাথ সেন ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করার ইচ্ছে নেই বলে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন। কারণ যাদের মনমানসিকতা এত নীচ যে, গহনার পরিমাপ ও মান যাচাইয়ের জন্য সেকরা নিয়ে আসে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা শম্ভুনাথ সেনের ছিল না।
প্রশ্ন: ঠাট্টা তো আপনিই করিয়া সারিয়াছেন’— বুঝিয়ে দাও ।

উত্তর : শম্ভুনাথ সেন অনুপমের মামাকে আলোচ্য কথাটি বলেন। কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ সেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ। তিনি কন্যার বিয়েতে বরপক্ষের চাহিদার অতিরিক্ত গহনা কন্যাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু অনুপমের মামা কন্যার সমস্ত গহনা সেকরা দ্বারা পরীক্ষা করান এবং গয়নার একটি তালিকা প্রস্তুত করেন যাতে করে পরবর্তী সময়ে গহনার কোনো হেরফের না হয়।
অনুপমের মামার এ ধরনের আচরণে শম্ভুনাথ সেনের ব্যক্তিত্বে তীব্র আঘাত লাগে । তাই কৌশলে তিনি সবাইকে রাতের খাবার খাইয়ে দেন এবং বরপক্ষকে গাড়ি ডাকার কথা বলেন। এমন আচরণ দেখে অনুপমের মামা শম্ভুনাথ সেনকে বলেন, ‘ঠাট্টা করিতেছেন নাকি?’ অনুপমের মামার এ প্রশ্নের জবাবে শম্ভুনাথ সেন প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন।
প্রশ্ন: ‘আমাকে দেখিলে আজও মনে হইবে, আমি অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি – ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ‘আমাকে দেখিলে আজও মনে হইবে, আমি অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’— এ কথাটি মূলত অনুপমকে ব্যঙ্গ করার উদ্দেশে বলা হয়েছে।
‘অপরিচিতা’ গল্পে লেখক অন্নপূর্ণার সন্তানের সঙ্গে অনুপমের তুলনা করেছেন। দেবী দুর্গার দুই পুত্র গণেশ ও কার্তিকেয়। কার্তিকেয় ছোট বিধায় সে সবসময় মাতৃস্নেহে লালিত এবং মায়ের কোলই হলো তার একমাত্র আশ্রয়। অনুপম শিক্ষিত হলেও ব্যক্তিত্বরহিত; পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায়, তার নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই। তাকে দেখলে আজও মনে হয় সে যেন মায়োর কোলসংলগ্ন অবুঝ শিশু। এ কারণে লেখক ব্যঙ্গার্থে অনুপমকে কার্তিকেয়র সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন ।
প্রশ্ন: ‘তাহারই পশ্চাতে লক্ষ্মীর ঘটটি একবারে উপুড় করিয়া দিতে দ্বিধা হইবে না।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পিতার একমাত্র কন্যা হওয়ায় তার সমস্ত সম্পদের উত্তরাধিকার কল্যাণী- এ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে।
হরিশের কাছ থেকে মেয়ে আর তার বাবার বৃত্তান্ত শুনে মামা খুবই খুশি। কারণ মেয়েটিই বাবার একমাত্র সন্তান। আর কেউ নেই। একসময় ধনে-মানে তাদের মঙ্গলঘট ভরা ছিল। এখন তলারটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। মামার ধারণা, মেয়ের জন্য লক্ষ্মীর ঘটটি একেবারে উপুড় করে দিতে তার বাবা সামান্যতমও দ্বিধা করবেন না।
প্রশ্ন: “কারণ, প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেহই নই।”
ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : অনুপম নিজের অপারগতা সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন । অনুপমের বিয়ের দিনে তার মামা গহনা সব ঠিকঠাক আছে কিনা তা জানার জন্য মেয়ের বাবা শম্ভুনাথের কাছে সেকরাসহ হাজির হন। তিনি কল্যাণীর শরীর থেকে সমস্ত গহনা খুলে সেকরাকে দিয়ে পরীক্ষা করান। শম্ভুনাথের কাছে বিষয়টি ভালো লাগে না। তাই তিনি কৌশলে পাত্রপক্ষকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে তাদের চলে যেতে বলেন। তিনি মনে করেন, মেয়েকে নকল গহনা দিয়ে বিয়ে দিতে পারে এমন কথা যারা ভাবতে পারে তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। তাই তিনি বিয়ে ভেঙে দেন এবং পাত্র অর্থাৎ অনুপমকে একবারও জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে, পাত্রের আসলে এই বিষয়ে কথা বলার তেমন কোনো ক্ষমতা নেই। কারণ এত অনাচারেও অনুপম কোনো প্রতিবাদ করেনি। আর শম্ভুনাথের এমন উপলব্ধির কথাই গল্পকথক এভাবে তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন: এইটি একবার পরখ করিয়া দেখ।’ কী এবং কেন পরখ করে দেখতে বলা হয়েছে?

উত্তর : একজোড়া ওয়ারিং সেকরার হাতে দিয়ে তা খাঁটি সোনার কিনা পরখ করে দেখতে বলেছেন শম্ভুনাথ সেন আলোচা উক্তির। মধ্য দিয়ে।
‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের সাথে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা কল্যাণীর বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু অনুপমের মামার চরম যৌতুকলোভী মানসিকতার প্রকাশ ঘটে বিয়ের আসরে। যৌতুকের গহনা কল্যাণীর শরীর থেকে খুলে পরীক্ষা করান অনুপমের মামা। তখন শম্ভুনাথ সেন এক জোড়া এয়ারিং এগিয়ে দেন সেকরার হাতে তা পরখ করে দেখার জন্য। কেননা সেটা ছিল অনুপমের মামার দেওয়া বিলাতি জিনিস, যাতে সোনার ভাগ সামান্য।
প্রশ্ন: ‘আমাকে একটি কথা বলাও তিনি আবশ্যক বোধ করিলেন না।”- উক্তিটি বুঝিয়ে দাও। 
উত্তর : কল্যাণীর পিতা অনুপমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে না
দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুপমকে একবার জানানোরও প্রয়োজন বোধ করেননি। উক্তিটির মাধ্যমে অনুপম এ কথাটিই বোঝাতে চেয়েছে।
অনুপমের মামা ছিলেন তাদের পরিবারের কর্তা। বিয়ের আসরে তিনি কনের গা থেকে গয়না খুলে সেকরাকে দিয়ে পরীক্ষা করান। কনের পিতা শম্ভুনাথ সেন অনুপমের কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেও কোনো সদুত্তর পাননি। তাই বরপক্ষকে জানিয়ে দেন তিনি অনুপমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। শম্ভুনাথ সেনের যা কথা হয় সব অনুপমের মামার সঙ্গে। তিনি অনুপমকে গুরুত্বহীন বিবেচনা করে তার সঙ্গে কোনো কথাই বলেন না। অনুপম তাই নিজের গুরুত্বহীনতার কথা অনুভব করে উত্তিটি করে।
প্রশ্ন: ‘ফল্গুর বালির মতো তিনি আমাদের সমস্ত সংসারটাকে নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন’- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রশ্নোত্ত কথাটি অনুপম তার মামাকে উদ্দেশ করে
বলেছে। কারণ মাত্র ছয় বছরের বড় হলেও মামাই ছিলেন তার পরিবারের ভাল-মন্দের প্রধান নির্ধারক। অনুপমের মামা ছিলেন তার প্রধান অভিভাবক। এমনকি অনুপমের বিয়ের ব্যাপারেও তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্তরূপে গ্রহণ করা হয়। প্রশ্নোত্ত কথাটিতে অনুপম তার মামার চারিত্রিক ও ব্যক্তিমানসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছে। তিনি যা কিছু ভাব্দে তা অনুপমের মঙ্গলের জন্যই ভাবেন। তিনি তার ভাগ্য দেবতা। অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার ক্ষেত্রে তার মামার ভূমিকাই মুখ্য।
প্রশ্ন: “কিন্তু মেয়ের বিয়ে হইবে না এই ভয় যার মনে নাই। তার শাস্তির উপায় কী?”- মন্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : এখানে শম্ভুনাথ সেনের গৌরববোধকে বড় করে দেখানো হয়েছে।
মেয়ের গহনা সেকরাকে দিয়ে পরখ করায় অপমানিত বোধ করেন বাবা শম্ভুনাথ সেন। বরযাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়ায় অনুপমের মামা রেগে যান। কীভাবে শম্ভুনাথ তার মেয়েকে বিয়ে দেন তা দেখে নিবেন বলে হুমকি দেন। কিন্তু তার সেই কথায় মেয়েকে বিয়ে দিতেই হবে বা হবে না এ ভাবনা শম্ভুনাথ বাবুর মনে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে না। তাই তাকে সহজে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয় ।

প্রশ্ন : ‘মৃত্যুতে তিনি যে হাঁফ ছাড়িলেন সেই তাঁর প্রথম অবকাশ’- কথাটি কার সম্পর্কে বলা হয়েছে?

উত্তর : ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপমের বাবার সম্পর্কে উক্তিটি করা হয়েছে।
অনুপমের বাবা এককালে গরিব ছিলেন। পরে ওকালতি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করেন। তবে তা ভোগ করার সময় পাননি। কেননা তিনি খুব ব্যস্ত সময় কাটাতেন। তাই মৃত্যুর মধ্য দিয়েই তাঁর অবকাশ যাত্রা শুরু হয়।
প্রশ্ন : অনুপমের মামা কীভাবে গহনা পরখ করেছিলেন?
উত্তর : অনুপমের মামা সেকরা দিয়ে গহনা পরখ করেছিলেন।
সেকরা দাঁড়িপাল্লা ও কষ্টিপাথর নিয়ে মেঝেতে বসেছিল। কন্যার বাবা মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে এনে সামনে দেন। মামা নোটবইয়ে গহনাগুলোর ফর্ম টুকে নেন, পাছে যা দেখানো হয়েছে তার কোনোটা কম পড়ে। মামা হিসাব করে দেখেন, যে পরিমাণ গহনা দেওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে সংখ্যায়, দরে এবং ভারে সেগুলো অনেক বেশি। এভাবে অনুপমের মামা গহনা পরখ করেছিলেন।

আজকে আমরা অপরিচিত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন জানার পরে অপরিচিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন জানলাম। অপরিচিত গল্পের অনেকগুলো জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে আশা করি আজকে অপরিচিত গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো পড়ে উপকৃত হয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button